তারাপীঠ ধেখতে চলুন
বীরভূমের
প্রতিটী ধূলিকনা যেন রক্তজবার মত ফুটতে চায়। তারাপীঠ হচ্ছে তারা মায়ের
পীঠ। পরম গুরুত্বপূর্ণ এই শক্তিসাধনপীঠ। ব্রহ্মার মানসপুত্র বশিষ্টদেব এই
তারাপীঠে সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেন। বহু সাধক সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছেন।
তাঁদের মধ্যে সাধক বামাক্ষ্যাপার নাম উল্লেখযোগ্য। তাই সাধু সন্ত সাধক
তান্ত্রিক ভৈরব ভক্তজনের কাছে তারপীঠ খুবই আকর্ষণীয়।
এখানে
এক সময় সমাজতত্ববিদ বিনয় ঘোষ, সাহিত্যিক সমরেশ বসু, কবি শক্তি
চট্টোপাধ্যায় এবং মার্কিন মুলুকের কবি আ্যালান গিনসবার্গ এসেছিলেন।
বর্তমান তারাপীঠের অবস্থান পুরো পাল্টে গেছে, সেই গ্রামবাংলার সৌন্দর্য্য
হারিয়েছে নগরায়ণের ফলে। প্রোমদ কূমার চট্টোপাধ্যায়ের ' তন্ত্রঅভিলাসীর
সাধুসঙ্গ' যারা পড়েছেন তারা জানবেন যে তখন তারপীঠ ছিল দূর্গম। পরিবেশও ছিল
খুবই ভয়াবহ। একমাত্র নিষ্ঠাবান তান্ত্রিকেরাই সমস্ত বিপদ উপেক্ষা করেই
তারপীঠে আসতে পারতেন।
ডানদিকের রাস্তায় হোটেল লজ
বরাবর দেখা যাবে মুন্ডমালিনীতলা। ছোটবাবার ( সন্ন্যাসী গোঁসাই ) ঠিক
উল্টোদিকে খগেনবাবার স্মৃতি মন্দির ও আশ্রম। মুন্ডমালিনীতলায় দেখা যাবে মহা
শশ্মান ও সতীমাতাপীঠ ছোটবাবার সমাধি। মুন্ডমালিনীর মন্দির ও মূর্তি।
চৌমাথা থেকে ডান দিকে এগিয়ে গেলে দেখতে পাওয়া যাবে দুপাশে নানান দোকান
পাটে পসরা।
তারামায়ের মন্দিরের ডানদিকে নাটমন্দির ও
হাাঁড়ি কাঠ। নাটমন্দিরের সামনে তারা মায়ের মন্দির। মন্দিরের গায়ে টেরাকোটার
কাজ। নাটমন্দিরের পাশে স্নান মন্দির। মন্দির চত্বরে রেয়েছে ভোগঘর, শিব
মন্দির. নারায়ণ মন্দির, বিষ্ণুকুকুরসহ বামাক্ষ্যাপার মন্দির, বিষ্ণূ
মন্দির বাম দিকে জীবিত কুন্ডের বাঁধান ঘাট।
মন্দিরের
উল্টোদিকে তারাপীঠ মহাশশ্মান। শশ্মানের দুটি প্রসিদ্ধ জায়গার নাম নিমতলা ও
শিমূলতলা। নিমতলায় রয়েছে বামাক্ষ্যাপার সাধনাস্থল।
কীভাবে
যাবেন ঃ কলকাতা থেকে ২০৭ কিলোমিটার পথ। হাওড়া থেকে দানাপুর, মজফ্ফরপুর
প্যসেঞ্জারে রামপুরহাট। এখান থেকে তারাপীঠ ১১ কিলোমিটার পথ। কলকাতা ময়দান
থেকে সরাসরি বাসে তারাপীঠ যাওয়া যায়।
থাকবেন কোথায় ঃ নানা দরের হোটেল আছে। ভারত সেবাশ্রমেও থাকা যায়।
![]() |
0 মন্তব্যসমূহ