খাজুরাহোর প্রাচীন ইতিহাস
খাজুরাহোর প্রাচীন ইতিহাস জানতে হলে, তাকে
ফিরে দেখতে হবে। ছোট জনপদ খাজুরোহ ছিলো সম্পূর্ণ জঙ্গলে ঘেরা। বন্য
জন্তুর আবাসভূমি ছিল। চা রিদিকে খেজুর গাছের সমারোহ। গাছে গাছে সোনালী
খেজুর ফলে থাকতো। এই হিসাবে নাম হয় খেজুরপুরা। কালের শ্রোতে এই এলাকার নাম
হয় খাজুরোহ। বিশেষজ্ঞদের মতে খাজুরোহ নামটি সংস্কৃত শব্দ থেকে এসেছে।
টিকে
থাকা সবচেয়ে পুরাতন মন্দিরটা কান্ডরিয়া মহাদেব মন্দির। বৈষ্ণব গোষ্ঠির
ভক্তদের উপাস্য দেবতাদের মধ্যে চতুর্ভুজ আর রামচন্দ্রের মন্দির আছে।
খাজুরোহ
মন্দির গাত্রের ভাষ্কর্য্য ফুটিয়ে তুলেছে শিল্পীরা। শিল্প শৈলীতে প্রতিটি
মন্দির স্বমহিমায় উজ্জ্বল। এই শিল্প কর্মের নাম জয়তী।
সর্ব
ধর্মের সমহার হচ্ছে খাজুরোহ মন্দির। শৈব শক্তির যারা উপাশক তাদের কান্ডরিয়
শিব মন্দির যেমন রয়েছে, তেমনি জৈন্য ধর্মালম্বীদের জন্য রয়েছে
পার্শ্বনাথ, আদ্যনাথ, শক্তিনাথ মন্দির।
এছাড়া চৌষট যোগীনি মন্দির, লালগুঁয়া মহাদেব মন্দির, লালবাবা মন্দির, মহাদেও মন্দির, দুলালদেব মন্দির ও চতুর্ভুজ মন্দির।
আধুনিক মূল্যবোধ, নীতিবোধ আর নন্দনতত্বের মাপকাঠিতে এই মিথুন মূর্তির চর্চা করলে স্বাভাবিক আনন্দটাই মন থেকে হারিয়ে যাবে।
কি
ভাবে যাবে ন ঃ-- হাওড়া থেকে মুম্বাই মেলে এলাহাবাদ অথবা সিপ্রা
এক্সপ্রেসে সাতনা। স্টেশন থেকে বাসে ১২৫ কিমি গেলেই পৌঁছে যাবেন খাজুরাহো।
কোন সময় যাবেন ঃ বর্ষাকাল বাদ দিয়ে যে কোন সময় যাওয়া যায়।
0 মন্তব্যসমূহ